• ১ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Oath Taking

কলকাতা

Firhad Hakim: কলকাতাকে বিশ্বের সেরা শহর করবে 'টিম কর্পোরেশন', শপথ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের

কলকাতা পুরসভার মেয়র হিসাবে ফের শপথ নিলেন ফিরহাদ হাকিম। চেয়ারপার্সন হলেন মালা রায়। মঙ্গলবার পুরসভায় এক অনুষ্ঠানে মেয়র ও তাঁর পারিষদেরা শপথ নেন। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় বার কলকাতার মেয়র হলেন ফিরহাদ। এর আগে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে শোভন চট্টোপাধ্যায় মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিলে, তৎকালীন পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের দায়িত্বে থাকা ফিরহাদকে কলকাতার মেয়র পদে বসান মমতা।শপথ নেওয়ার পর ফিরহাদ হাকিম বলেন, টিম কর্পোরেশনকে বিশ্বের সেরা শহর হিসাবে কলকাতাকে তুলে ধরতে হবে। ফিরহাদ হাকিমের কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক প্রত্যাশা করে এই বোর্ড গড়েছেন। এই বোর্ডকে মনোনীত করেছেন। আমরা টিম কর্পোরেশন অর্থাৎ চেয়ার পার্সন মালা রায়ের সঙ্গে আমরা সবাই, সব কাউন্সিলররা একটাই শপথ নেব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে প্রত্যাশা মানুষকে সেবা দেওয়ার, কলকাতাকে বিশ্বের সেরা শহর করার সেটা আমরা বাস্তবায়িত করব। মানুষকে এমন জায়গায় সেবা দিতে হবে, যাতে মানুষ বলেন এই বোর্ড শ্রেষ্ঠ বোর্ড। আমি নিশ্চিতভাবে মেয়র। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা কেউ প্রশাসনিক বিরাট পদে নয়। আমরা সবাই সেবক এবং প্রধান সেবকের নাম ফিরহাদ হাকিম। আমরা সকলে মিলে কাজ করব।পুরনির্বাচনে ১৩৪টি আসনে জয়ী হয়ে আগেই পুরবোর্ড গঠন নিশ্চিত করেছিল তৃণমূল। এরপর মহারাষ্ট্র নিবাস হলে মেয়র, চেয়ারপার্সন, মেয়র পারিষদ, বরো চেয়ারম্যানদের নাম ঠিক করে দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবারের এই অনুষ্ঠান ছিল নেহাতই উপচার। প্রবীণ কাউন্সিলর হিসাবে ওই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাম প্যায়ারে রাম। তিনিই মেয়র ও চেয়ারপার্সনকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন।ডেপুটি মেয়র পদে শপথ নেন অতীন ঘোষ। মেয়র পারিষদ পদে শপথ নেন দেবাশিস কুমার, দেবব্রত মজুমদার, তারক সিং, অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, স্বপন সমাদ্দার, মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়, জীবন সাহা, রাম প্যারে রাম, সন্দীপন সাহা, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপ বক্সী, আমিরউদ্দিন ববি। তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন মেয়র। শপথবাক্য পাঠ করানোর পর ফিরহাদ বলেন, মেয়র বা মেয়র পারিষদ কিংবা কাউন্সিলর হলেই চলবে না, যখন ডাকি তখন পাই, এমনটাই হতে হবে। সে কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিনিধি করে আমাদের এখানে পাঠিয়েছেন। মনে রাখতে হবে, দায়িত্ব পালন মানে মানুষের পাশে থাকা, তাঁদের সেবা করা।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
রাজনীতি

Dhankhar: মমতাকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল

৭ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, বিধায়ক হিসেবে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় গিয়ে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মঙ্গলবার বিকেলে টুইট করে ধনখড় এ কথা জানান। একই সঙ্গে বিধায়ক পদে শপথ নেবেন আমিরুল ইসলাম ও জাকির হোসেন।উল্লেখ্য, বিধায়কদের শপথ পড়ানো নিয়ে প্রবল টানাপোড়েন চলছিল। উপনির্বাচনে জয়ী তিন বিধায়ককে কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন, তা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল। একই সঙ্গে সূত্রের খবর ছিল, এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কোনওরকম জটিলতা চাইছিলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বিবাদে, বিনা বিতর্কে এই পর্ব হোক বলেই ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছিলেন তিনি।Earlier @itspcofficial had indicated pl administer oath of 3 elected members on 7th October 2021 at 11.45 a.m. and after issuance of order has sought Kindly allow to administer oath at 2 p.m. instead of 11.45 a.m.Now oath will be administered at 2 PM at WBLA by Governor WB. https://t.co/v0qjB0Aq5B pic.twitter.com/RBVA4mdFdG Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) October 5, 2021মমতার শপথ কোথায় হবে, রাজভবন না বিধানসভা, শপথ বাক্যই বা কে পাঠ করাবেন, রাজ্যপাল না অধ্যক্ষ, তা নিয়েও জল্পনা চলছিল। গুঞ্জন ছিল, রাজভবনে মমতার শপথের অনুষ্ঠান হলে সেখানে উপস্থিত নাও থাকতে পারেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আপাতত ধনখড়ের টুইটে সেই জল্পনার অবসান। তবে একই সঙ্গে এটাও স্পষ্ট হল, মমতাকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপালই, স্পিকার নন।

অক্টোবর ০৫, ২০২১
কলকাতা

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দলবদলের জল্পনা বাড়ালেন বঙ্গ রাজনীতির 'চাণক্য' মুকুল

তিনি বরাবরই কৌশলী, বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য। দীর্ঘদিন পর সক্রিয় রাজনীতিতে এসেও তারই প্রতিফলন ঘটালেন।শপথ গ্রহণের দিন মুকুল রায়ের আচরণ বিশেষভাবে চোখে পড়ার মতো। শুক্রবার তিনি নির্ধারিত সময়েই পৌঁছে যান বিধানসভায়। ঠিক ১০ মিনিট সেখানে ছিলেন। শপথগ্রহণের পর বিজেপি পরিষদীয় দলের ঘরে না গিয়ে সোজা তৃণমূল পরিষদীয় দলের ঘরের দিকে চলে যান তিনি। সেখানে দেখা করলেন শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে, চলল সৌজন্য বিনিময়ও। তারপরই অবশ্য মুখে কুলুপ আঁটলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক। বলেন, মানুষের জীবনে এমন দু-একটা দিন আসে, যখন মানুষকে চুপ থাকতে হয়। এই কথাই বহুমুখী ইঙ্গিতবাহী।জয়ের পর বিধায়কের শপথ নিতে এসে মুকুলের আচরণ কিন্তু উস্কে দিয়েছে একাধিক জল্পনা। এদিন বিধানসভা কক্ষে তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রোটেম স্পিকার তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তারপরই মুকুল রায়কে ঘিরে ধ্বনি ওঠে, দলনেতা হতে হবে। এসবে বিশেষ কর্ণপাত না করে তিনি তৃণমূল পরিষদীয় দলের ঘরে যান। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক সুব্রত বক্সির সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন, অন্যদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে চলে যান। একটিবারও ঢোকেননি তাঁর নিজের দল বিজেপি পরিষদীয় দলের ঘরে। এমনকী পরিষদীয় দলের বৈঠকও এড়িয়ে গিয়েছেন।এরপর মুকুল রায় বিধানসভার বাইরে এলে তাঁকে সাংবাদিকরা ঘিরে ধরে নানা প্রশ্ন করেন। তাতে প্রথমে মুকুল রায় জবাব দেন, মানুষের জীবনে এমন দু-একটা দিন আসে, যখন মানুষকে চুপ থাকতে হয়। এ নিয়ে জল্পনা উস্কে ওঠে। এই নীরবতার কী অর্থ। বিজেপি বিধায়ক হিসেবে শপথ নিয়েই তৃণমূল পরিষদীয় দলের ঘরে কেন? এর উত্তরে তিনি বলেন, সুব্রত বক্সির সঙ্গে দেখা হয়েছে। আরও অনেকের সঙ্গেই হয়েছে। সুব্রত মুখার্জিকে দেখিনি। কিন্তু সকলে যে তাঁকেই বিরোধী দলনেতা হওয়ার দাবি তুললেন? এ নিয়ে একটি কথাও উচ্চারণ করেননি মুকুল। এমনিতেই এই পদ নিযে মুকুল-শুভেন্দুর একটা অলিখিত লড়াই আছে, যে লড়াইয়ে অনেকেই শুভেন্দুকে এগিয়ে রাখছেন। কারণ, হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর নজরকাড়া সাফল্য। তবে কি এই দৌড়ে খানিক পিছিয়ে থেকেই তৃণমূল ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছেন একদা তৃণমূলের ভরসাযোগ্য নেতা মুকুল রায়? তাঁর আজকের আচরণ তুলে দিচ্ছে এমনই বেশ কিছু প্রশ্ন।

মে ০৭, ২০২১
রাজ্য

আজ মমতার শপথগ্রহণে বেশ লম্বা আমন্ত্রিতর তালিকা

তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫ মে সকাল পৌনে ১১টায় রাজভবনে শপথগ্রহণ করবেন তিনি। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ছোট করে সারা হচ্ছে শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান। তবে আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছে একাধিক চমক।সূ্ত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। যদিও শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি উপস্থিতি থাকবেন না বলেই খবর। আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও। তিনি আসবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান, কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী, বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুকেও। এছাড়া শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানে তৃণমূলের তরফে হাজির থাকতে পারেন বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক সুব্রত মুখোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। তারকা সাংসদ দেব এবং শতাব্দী রায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। তবে এবার অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা নেতা-নেত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। দেশের করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে খবর।

মে ০৫, ২০২১
রাজনীতি

মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা মমতার, ৫ মে শপথ

শপথগ্রহণের দিনক্ষণ ঠিক হতেই রাজভবনে গেলেন রাজ্যের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে প্রায় সোয়া একঘণ্টা বৈঠক সারলেন তিনি। জমা দিলেন নিজের পদত্যাগপত্রও। যদিও নতুন সরকার দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতাকেই রাজ্যের দায়িত্ব সামলাতে বললেন রাজ্যপাল। এদিকে এদিন সন্ধেয় রাজ্য থেকে আচরণবিধি প্রত্যাহার করেছে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ আজ থেকে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব ফিরল রাজ্যের হাতে। বিভিন্ন এলাকা থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার খবর আসছে। সেই মুহূর্তে রাজ্যের হাতে ক্ষমতা ফেরানো বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ফলপ্রকাশের দিনই মমতা জানিয়েছিলেন, দলের সঙ্গে আলোচনা করে শপথগ্রহণের দিনক্ষণ ঠিক করবেন। এদিন তৃণমূল ভবনে নির্বাচিত দলীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন মমতা। তার পরই দলের তরফে জানানো হয়. ৫ তারিখ তৃতীয়বারের জন্য শপথ নেবেন মমতা। বিধায়কদের স্বাক্ষর করা চিঠি নিয়ে রাজভবনে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব তথা বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। রাজ্যপালের কাছে সরকার গড়ার দাবি জানান মমতা। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগও করেন তিনি। উল্লেখ্য, নতুন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করাই নিয়ম। এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে সোয়া একঘণ্টা বৈঠক হয় রাজ্যের ভাবী মুখ্যমন্ত্রীর। সূত্রের খবর, দুজনের মধ্যে রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা, কোভিড পরিস্থিতি এবং মন্ত্রিসভা নিয়ে আলোচনা হয়। কোভিড টুইট করে সাক্ষাতের কথা জানিয়েছেন রাজ্য ধনখড়ও। তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় মমতাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ধনখড়। ছিলেন রাজ্যপালের স্ত্রীও। ধনখড় জানিয়েছেন, ৫ তারিখ সকালে পৌনে ১১টায় শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছোট করে সারতে চাইছেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। এদিন তা নিয়েও রাজ্যপালের সঙ্গে কথা হয় বলে খবর রাজভবন সূত্রে।

মে ০৩, ২০২১

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বিদেশ

কে এই ওসমান হাদি? যাঁর মৃত্যুতে গোটা বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে

কয়েক মাস আগেও যাঁকে প্রায় কেউ চিনতেন না, অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। রাজনীতিতে আচমকা উত্থান, আবার সেই কাহিনি পূর্ণতা পাওয়ার আগেই থেমে গেল। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ছড়িয়েছে উত্তেজনা, বহু জায়গায় আগুন ও বিক্ষোভ। যাঁকে ঘিরে এত আলোচনা, আন্দোলন ও বিতর্ক, সেই ওসমান হাদি আসলে কে ছিলেন?অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন ওসমান হাদি। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি পান হাদি। বিতর্কিত গ্রেটার বাংলাদেশ-এর মানচিত্র তৈরির সঙ্গেও তাঁর নাম জড়ায়, যেখানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স-সহ একাধিক অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল।১৯৯৩ সালের ৩০ জুন বরিশালে জন্ম ওসমান হাদির। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার রামপুরা এলাকায় থাকতেন। পেশায় শিক্ষক ছিলেন হাদি। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে স্থানীয় সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রামপুরা এলাকার সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান এবং পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে যারা সরব হন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হাদি। সেই সময়েই গড়ে ওঠে ইনকিলাব মঞ্চ। এই মঞ্চের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের দাবি। ইনকিলাব মঞ্চের তরফে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, অভিযুক্তদের বিচার, আহত ও নিহতদের স্বীকৃতি এবং জুলাই চার্টার ঘোষণার দাবি তোলেন হাদি। এর ফলে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি।ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও হাদির নাম জড়ায়। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে হাদি বারবার আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও হত্যার অভিযোগ তুলে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ফোন ও মেসেজ করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবুও তিনি পিছিয়ে যাননি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। চা-সিঙ্গারা আড্ডার মাধ্যমে প্রচারও শুরু করেছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।গত ১২ ডিসেম্বর জুম্মার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকা দিয়ে ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর রাতে সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় ওসমান হাদির। আজ তাঁর দেহ বাংলাদেশে আনা হবে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

নিষিদ্ধপল্লীতে ভোটার উধাও! খসড়া তালিকায় বাদ ২০ শতাংশ নাম

নিজস্ব সংবাদদাতা: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এল আসানসোলে। উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের প্রাথমিক পর্ব শেষে দেখা যাচ্ছে, কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুর সংলগ্ন নিষিদ্ধপল্লী এলাকার চারটি বুথে মোট ভোটারের প্রায় ২০ শতাংশ নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় ২০ শতাংশ ভোটারের সঙ্গে পুরনো তালিকার কোনও ম্যাপিং করা যায়নি বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।এসআইআর শুরু হওয়ার সময় এই চারটি বুথে মোট ভোটার ছিলেন ৩ হাজার ৬২৭ জন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ৭৪২ জনের নাম বাদ গিয়েছে। বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৬৯ জন অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, অর্থাৎ ৫৩৪ জন ভোটারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম তুললেও তা আর জমা দেননি। পাশাপাশি ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি এমন ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪ জন।এই তথ্য সামনে আসতেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই ভূতুড়ে ভোটারদের ব্যবহার করে এসেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের দাবি, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি বাচ্চু রায় বলেন, নিষিদ্ধপল্লীর অনেক যৌনকর্মী নিজের পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রেখে সেখানে কাজ করতে আসেন। এসআইআর চলাকালীন তাঁরা ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন বা ফর্ম তুললেও জমা দেননি। তাঁর দাবি, এখানে কোনও বাংলাদেশি যোগ নেই।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

আপাতত স্বস্তি যোগ্য শিক্ষকদের, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি সুপ্রিম কোর্টের

অবশেষে কিছুটা স্বস্তির। সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ ডিসেম্বর নয়, ২০২৬ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই সময়সীমার মধ্যেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। রাজ্যের তরফে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হলেও আদালত সেই আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে প্রায় আট মাসের অতিরিক্ত সময় দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সময়কালে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত বেতন পাবেন এবং পড়ানোর কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে, এই সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না।আজকের এই রায়ে বড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকারও। কারণ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা এবং বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক সংকট এড়ানো রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আগের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিষেবা ও বেতন বহাল থাকবে।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই জটিল প্রক্রিয়া শেষ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচা–পাঁচামিতে পাথর উত্তোলনের বরাত বাতিল, নতুন দরপত্রে বিতর্ক

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প এলাকায় পাথর উত্তোলনের কাজের বরাত বাতিল করল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ১২ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা মেসার্স পাচামি ব্যাসল্ট মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, সংস্থাটি চুক্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মানেনি বলেই এই পদক্ষেপ।রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ৩১৪ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার আসলে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ১৫ বছরে রাজ্য সরকার একটি বড় শিল্প প্রকল্পও বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। অথচ দেওচাপাঁচামিকে দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বলে প্রচার করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, আসন্ন শিল্প সম্মেলনের আগে বরাত বাতিল ও নতুন দরপত্র ডেকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, নতুন দরপত্রে কোথাও কয়লাখনি স্থাপনের উল্লেখ নেই। বরং আগামী ১৫ বছরের জন্য শুধুমাত্র পাথর উত্তোলনের কথাই বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এর থেকেই স্পষ্ট যে আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনও পরিকল্পনাই রাজ্যের নেই। যদিও গত অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক স্তরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও পূর্ণাঙ্গ নকশা বা প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েনি। পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি নেওয়া হলেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা স্থায়ী কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিকে রাজ্য সরকারের শিল্পনীতির ব্যর্থতার প্রতিফলন বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
কলকাতা

মেসি-কাণ্ডে মানহানির অভিযোগ, লালবাজারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এফআইআর

লিওনেল মেসিকে ঘিরে কলকাতার সাম্প্রতিক বিতর্কে এবার আইনি মোড়। প্রকাশ্যে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এফআইআর দায়ের করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কলকাতার আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবের প্রধান তথা মেসি-ভক্ত উত্তম সাহার দিকে।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে ঘিরে যে বিতর্কিত ঘটনার সূত্রপাত, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সৌরভের ভূমিকা সম্পর্কে একাধিক ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই মন্তব্যগুলিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলেই দাবি করা হয়েছে অভিযোগে।সৌরভের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে তিনি শুধুমাত্র একজন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেই উপস্থিত ছিলেন। ইভেন্টের আয়োজন বা পরিচালনার সঙ্গে তাঁর কোনও রকম সাংগঠনিক যোগ ছিল না। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন শতদ্রু দত্ত। একই অনুষ্ঠানে অভিনেতা শাহরুখ খান-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উত্তম সাহা প্রকাশ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিটিংবাজ বলে কটাক্ষ করেন, যা প্রাক্তন অধিনায়কের সামাজিক সম্মান ও দীর্ঘদিনের ভাবমূর্তিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই কারণেই মানহানির নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি লালবাজারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।উল্লেখ্য, মেসিকে দেখার আশায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজার হাজার দর্শক মোটা অঙ্কের টিকিট কেটেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। একজন ডিসিপি সাসপেন্ড হয়েছে। এই আবহেই দেওয়া উত্তম সাহার মন্তব্যকে ঘিরে এবার আইনি পথে হাঁটলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজনীতি

একেই হুমায়ুন কবীরে অস্থির! এবার দুর্নীতির অভিযোগ জেলা পরিষদের সদস্যপদে ইস্তফা দাপুটে তৃণমূলনেত্রীর

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বড়সড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ। দলের হেভিওয়েট নেত্রী ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি শাহনাজ বেগম জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। শুধু পদত্যাগই নয়, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে নিজের দলের পরিচালিত জেলা পরিষদ বোর্ডকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।১৭ ডিসেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান শাহনাজ বেগম। তার প্রতিলিপি জমা পড়েছে জেলা শাসকের কাছেও। তবে প্রশাসনিক চিঠির থেকেও বেশি আলোড়ন তৈরি করেছে তাঁর ফেসবুক পোস্ট। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, চোর জেলা পরিষদের একজন অংশীদার হয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই এক লাইনের মন্তব্যেই জেলা তৃণমূল রাজনীতিতে তীব্র অস্বস্তি ছড়িয়েছে।শাহনাজ বেগম দাবি করেছেন, তিনি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভই যে এবার প্রকাশ্যে এসেছে, তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে দলের অন্দরে এমন প্রকাশ্য বিদ্রোহ তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা।মুর্শিদাবাদ জেলা রাজনীতিতে শাহনাজ বেগম অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম। একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ভেঙে জেলা পরিষদে তৃণমূলের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০১৩ সাল থেকে সোমপাড়া, রামপাড়া ও রামনগর বাছড়া এলাকা থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হন তিনি। কর্মাধ্যক্ষ থেকে সহকারী সভাধিপতি, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন শাহনাজ।যদিও আপাতত অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেননি তিনি। তবে পদ ছাড়লেও এলাকার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এই বিস্ফোরক ইস্তফা মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal